Header Ads

Header ADS

কংলাক পাহাড়ঃ মুগ্ধতার অন্য নাম

লিখেছেন হানিফ ভুঁইয়া

প্রথম অংশঃ সাজেক। Sajek 
শহরের যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে অনেক অনেক দূরে বিস্ময় জাগানো এক মেঘের রাজ্যে সাজেকের অবস্থান (বাংলাদেশ)। সাজেক থেকে আরও ৪৫ মিনিটের হাটা পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় উঠলেই দেখা মিলবে আর এক মনোমুগ্ধকর বিস্ময় কংলাক পাহাড়। অদ্ভুত হলেও সত্য এই পাহাড়ের চূড়াতেও জনবসতি (উপজাতি) আছে। শুধু উপজাতি জনবসতিই নয়, এখানেও আছে সাজেকের মত থাকার বাহারি সব কর্টেজ। কংলাক পাহাড়ের চূড়ায়
বসবাসরত এই জনবসতিদের পাড়ার নাম #কংলাক#পাড়া। কংলাক পাড়া সম্পর্কে পরে বিস্তারিত বলছি, আসুন আগে সাজেক সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতার কথাগুলো বলে নিই।

[বাংলাদেশের কোথায়, কোন জেলায়, কত দূরে #সাজেক / #Sajek উপজেলা এটা এখন বলা রীতিমত হাস্যকর। ভ্রমণ পিপাসু এবং রোমাঞ্চ প্রিয়দের জন্য বান্দরবনের বগালেক এবং কেওকারাডাং, রেমাক্রি, থানচি, আমিনাকুম, সাতভাইকুম এর মতই সাজেকও এখন অধিক জনপ্রিয়। এগুলোর জন্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক লেখালেখি হয়েছে, আমি আর লিখে বিরক্তি না বাড়াই। একটু কষ্ট করে গুগল করলেই পেয়ে যাবেন।]
গত ২৩শে জুন (২০১৮ইং) আমরা ১২জনের একটা টিম সাজেক থেকে ঘুরে এলাম। যদিও অনেকেই মনে করেন শীতকাল সাজেক ঘোরাঘুরির জন্য অনেক ভালো তবে আমার কাছে বর্ষাকালকেই পারফেক্ট মনে হয়েছে (অভিজ্ঞতা থেকে)। কেননা শীতকালে শুধু শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ফ্লেভারটাই পাওয়া যায় এদিকে বর্ষাকালে সব রকম ফ্লেভার পাওয়া যায়। পরিষ্কার করে বলি, গত ২৩শে জুন সকালে আমরা খাগড়াছড়ি থেকে যখন সাজেক রওনা দেই (চাঁদের গাড়ীতে সকাল ৮টা) তখন আবহাওয়া ভালোই। আকাশে পূর্ণ সূর্য। যে সূর্যের দিকে তাকালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'মহশ' গল্পের কথা মনে পড়ে যায়, "অগ্নিশিখার মত তাহাদের সর্পিল ঊর্দ্ধ গতির প্রতি চাহিয়া থাকিলে মাথা ঝিম্ ঝিম্ করে - যেন নেশা লাগে।" আমরা নেশাধরা সূর্য মাথায় নিয়ে রওনা হই সাজেকের উদ্দেশ্য (যদিও গাড়িতে ছাদ ছিল ;)। খাগড়াছড়ি শহর ছেড়ে ভেতরের দিকে ঢুকবার সাথেই শুরু হল বিস্ময়কর অনুভূতি। 
পিচঢালা পথের দুধারে উঁচু উঁচু পাহাড় কিংবা পাহাড়ের বুকে চিরে বেড়িয়ে গেছে পিচঢালা পথ। পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছে গাছ, লতাপাতার সমারোহ (কলার গাছ বেশি)। মাঝে মাঝে যেসব লতাপাতার ভিড়ে দেখা মেলে পাহাড়কে ছাড়িয়ে যাওয়া দানবীয় কিছু বৃক্ষের। এই পাহাড়ের বুকেই আবার পাহাড়িদের জুম চাষের দৃশ্যও মুগ্ধ হবার মত। এত মুগ্ধতার ভীরেও আরেকটি চোখ জুড়ানো মুগ্ধতা হলো পথের দু'ধারের পাহাড়ি শিশুদের অভ্যর্থনা। দিনে দু'বার সেনাবাহিনীর স্কট চলে (সকাল ১০/১০.৩০ টা এবং বিকেল ৩/৩.৩০টা)। [দিনে এই দুই সময়েই পর্যটকরা সাজেকে যেতে পারে। এই দুই সময়ের মধ্যে সেনা ক্যাম্পে পৌঁছতে না পারলে সাজেক ঐদিনের মত সাজেক যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।] পাহাড়ি ছোট ছোট শিশুগুলো এই দুই সময় পথের দু'ধারে হাত উঁচিয়ে উঁচিয়ে অভ্যর্থনা জানায়। পর্যটকদের কেউ চকলেট ছুড়ে দিলেই শুরু হয়ে যায় কাড়াকাড়ি-- কে কার আগে নেবে। পথ যেতে যেতে পাহাড়ি শিশুদের অভ্যর্থনার এই দৃশ্য আসলেই মুগ্ধ হবার মত। 
শুধু এসবই নয়, সাজেক যেতেই পথে পরল "#হাজাছড়া ঝর্ণা"। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে কিছুক্ষণ উঁচুনিচু হাটাপথ পারি দেবার পরেই ঝর্ণার দেখা মিলল। ১০০ ফিটেরও বেশি উচু পাহাড় থেকে অনবরত নিচে আছড়ে পড়ছে অবিরাম জলের ধারা। যে জলের ধারার শোঁ শোঁ শব্দ মুগ্ধ করে ফেলে। শুধু মুন্ধ নয় কিছুক্ষণ ঝর্ণার পাশে সময় কাটালে মন শীতল হয়ে যায়। আমাদের অনেকে পানিতে নেমে ঝর্ণার শীতল জলে গোসল সেরে নিল। ইচ্ছে করলে খাড়া পাহাড় বেয়ে বেয়ে পাহাড়ের চূড়ায় একদম ঝর্ণার কাছাকাছি যাওয়া যায়। সময় কম থাকায় আমরা যেতে পারিনি। তবে ব্যাবস্থা আছে। এজন্য ২০টাকার দিতে হয়। এরপর আছে পাহাড়ি নদী। নদী মুগ্ধ করবার চেয়ে বিস্ময় জাগিয়েছিল বেশি। সাজেক যেতে যেতে পথে দেখা পেয়েছিলাম মাছালং, কাছালং এবং গঙ্গারাম (জমজ নদী, কথিত আছে এরা দুই ভাই) এবং মায়নি নদীর মত বিস্ময়কর সব নদী। রূপকথার মত যে নদীগুলোর ইতিহাসও বিস্ময়কর।

মহেশ গল্পের নেশাময় সূর্য ছিল সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে পৌঁছানো পর্যন্ত। সেনাবাহিনীর স্কট শুরু হবার সাথে সাথেই বৃষ্টির চলে এসেছে। সাজেক যাওয়া পর্যন্ত পুরো পথ ছিল বৃষ্টিময়। সাজেক পৌঁছে, কর্টেজ কনফার্ম করবার কিছুক্ষণ পর যে বৃষ্টি থেমেছিল। এ বৃষ্টি শহরের প্রেমহীন বৃষ্টি নয় আবার গ্রামবাংলার মন মাতানো টিনের চালের ঝনঝন বৃষ্টিও নয়। এ এক বিস্ময়কর পাহাড়ি বৃষ্টি। পাহাড়ের বুকে যে বৃষ্টি জাগিয়েছে রোমাঞ্চকর শিহরণ আবার দিয়েছে মুগ্ধতাময় অনুভূতি। মেঘবৃষ্টির মাঝে দূর পাহাড়ের দিকে তাকালে দেখা যায় পাহাড়ে রঙের বিচিত্রতা। কিছুক্ষণ আগের সবুজ পাহাড়গুলো মেঘের আড়ালে পড়ে কালো ভয়ঙ্কর রূপ যেমন শিহরণ জাগিয়েছিলো ঠিক তেমনি বয়ে চলে সাদা মেঘের ভ্যালা তৈরি করে তীব্র মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। পথ যেতে যেতে আরেকটি রোমাঞ্চকর অনুভূতি হলো ৪৫ ডিগ্রি কোণে বয়ে চলে উঁচু পাহাড়ি খাড়া পথ। এ পথ বেয়ে গাড়ি উঠার সময় অদ্ভুত রোমাঞ্চ তৈরি করে। যদিও এরচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে চাঁদের গাড়ি করে কমলা বাজার থেকে বগালেক পর্যন্ত যাবার। তারপরেও এটাও কম নয়!
আমাদের জন্য আরেকটা বিস্ময় অপেক্ষা করছিল সাজেক পৌঁছাবার পর। পাহাড়ি বৃষ্টি তখনও ছিল। বৃষ্টির জন্য নামব কি নামব না এটা নিয়ে সবাই যখন দ্বিধার মধ্য অবস্থান করছি ঠিক তখনি সবাই বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। যে দৃশ্যের কারণে সবাই অভিভূত হয়েছিলাম সে দৃশ্যের জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। এতদিন শুধু শুনে এসেছিলাম আর এখন সরাসরি দেখলাম (আলহামদুলিল্লাহ্‌!)। সাজেকে গাড়ি থামাবার পর সবাই অবাক বিস্ময় নিয়ে লক্ষ করলাম সাজেকের কালো পিচঢালা পথের উপর দিয়ে সাদা মেঘ বয়ে চলছে। মেঘগুলো পথের এক দিক থেকে অন্যদিকে যাচ্ছে। অল্প কিছুদূর পাহাড়ের গায়ে যেগুলো জমা হয়ে মেঘের ভেলা তৈরি করছে। সতিই এ এক মনোমুগ্ধকর বিস্ময়! অভিভূত হয়েছি!!
পুনশ্চঃ যদিও বর্ষাকালে সাজেক সুন্দর তবে এ সময় পাহাড়ি ঢলে সাজেক যাবার পাহাড়ি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তারপরেও আমার মনে হপয় রোমাঞ্চপ্রিয়দের জন্য এটাই পারফেক্ট সময়। 
========================

দ্বিতীয় অংশ (ক)
কংলাক পাহাড়  
আমার কাছে এটাই মুগ্ধতার অন্য নাম। যেখানে রহস্য খেলা করে, যেখানে বিস্ময় খেলা করে। যে বিস্ময়ের অবস্থান পুরো মেঘের ভেতর। কংলাক পাহাড় সাজেকের কংলাক পাড়ায় অবস্থিত। সাজেক যেমন উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় তেমন কংলাক পাড়াও পাহাড়ের চূড়ায়। তবে সাজেকের চেয়ে পাহাড়ের উপর অবস্থিত কংলাক পাড়া আরও বেশি রোমাঞ্চকর। সাজেক থেকে হেলিপ্যাড বরাবরা সেনাবাহিনীর ক্যাম বরাবর রাস্তাধরে সোজাপথে ৪৫ মিনিট হেটে গেলেই কংলাক পাহাড়ের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। এরপর খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠলেই দেখা মিলবে সেই বিপন্ন বিস্ময়ের। এ বিস্ময় সম্পর্কে বেশি কিছু বলব না, এটার অনুভূতি আপনারা প্রাক্টিক্যালি নিবেন।

#পুনশ্চঃ সাজেক থেকে কংলাক পাহাড়ে হেটে গেলে অবশ্যই ৪.৩০ এর মধ্যে রওনা দিতে হবে। তাহলে সূর্যোদয় যেমন দেখতে পাবেন তেমনি মেঘও দেখতে পাবেন। 
গাড়ী করেও কংলাক পাহাড়ের নিচ পর্যন্ত আসা যায়। এরপর পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চূড়ায় (কংলাক পাড়ায়) উঠতে হয়। তবে আমার মতে যারা হিল ট্রাকিং পছন্দ করেন কিংবা ট্রাকিং এ অভিজ্ঞতা নেই এবং এডভেঞ্চারপ্রিয় তাদের সাজেক থেকে হাটাপথে যাওয়াই ভালো। প্রকৃতির মাঝে এসে যদি প্রকৃতির সাথেই মিশতে না পারলেন তাহলে প্রকৃতির মাঝে আসবার কোন মানেই হয় না। 
=================

দ্বিতীয় অংশ (খ)
সাজেক ভ্যালী থেকে নিচের দিকে হাটাপথ (২৫ থেকে ৩০ মিনিট) গেলেই ঝরনার দেখা মিলবে। স্থানীয় কাউকে বললেই পথ দেখিয়ে দেবে। ঝরনা দেখতে যাবার আগে অবশ্যই লবণ নিয়ে যাবেন। সেখানে অনেক জোঁক আছে। 


তৃতীয় অংশঃ যেভাবে যাবেন 
ঢাকা থেকে সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল বাস টার্মিনাল থেকে খাগড়াছড়ির বাস পাওয়া যায়। ঢাকা থেকে রাত ১০/১১টার বাসে রওনা দিলে সকালে খাগড়াছড়ি পৌছবেন। সকাল ১০টার সেনাবাহিনী স্কটে সাজেক যেতে চাইলে চাঁদের গাড়ি (ওদের সমিতির কাউন্টার আছে, এক রেট) ঠিক করে ফেলুন। আর যদি চান সারাদিন খাগড়াছড়ি ঘুরবেন এবং বিকেল ৩টার সেনাবাহিনী স্কটে সাজেক যাবেন সেটাও করতে পারেন। সকাল ১০টার স্কটে সাজেক গেলে, সাজেক পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর ১টার মত বেজে যাবে। বিকেলের স্কটেও গেলে এমনি আড়াই থেকে তিনঘন্টার মত লাগবে। 
=====================

চতুর্থ অংশঃ যা করবেন/ করবেন না
১। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন, রাঙামাটি এগুলো যেহেতু পর্যটন এলাকা, সুতরাং এগুলো এলাকায় যেতে চাইলে কিছুদিন আগ থেকেই যানাবাহনের টিকিট কনফার্ম করুন।

২। ট্যুরে রওনা দেবার সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিয়ে নিন (ছোট টর্চ লাইট-ব্যাটারির (উইথ এক্সট্রা ব্যাটারি), বেশকিছু পলিথিন (ব্যাগ ঢাকার জন্য বড় ১/২টা এবং প্রয়োজনীয় কাগজ/মোবাইল ইত্যাদির জন্য ছোট), প্রয়োজনীয় মেডিসিন, অডোমস, প্লাস্টিকের বেল্টোয়ালা জুতা (পেগাসাস) এবং কেডস নিলে অবশ্যই ভালো গ্রিপওয়ালা নিবেন।
৩। খাগড়াছড়ি থেকে চাঁদের গাড়িতেই সাজেক যাওয়া ভালো (বাইক/সিএনজির চেয়ে, কেননা পাহাড়ি রাস্তা অনেক খাড়া; মজা এবং নিরাপদ চাঁদের গাড়িই)। এক গাড়িতে সর্বোচ্চ ১৪জনের মত যাওয়া যায় (১২জন পার্ফেক্ট)। টিম মেম্বার কম হলে কাউন্টারের আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করুন, বেশ কয়েকটা টিম পেয়ে যাবেন। যারাও আপনাদের মত টিম খুঁজছে। পর্যাপ্ত সদস্যের টিম পেয়ে গেলে শেয়ারে চাঁদের গাড়ি নিয়ে নিন। চাঁদের গাড়ি মালিক সমিতির কাউন্টার আছে। ওখান থেকে গাড়ি ভাড়া নিতে পারবেন। [অন্য টিমের সাথে শেয়ারে চাঁদের গাড়ি ভাড়া করতে চাইলে একটু সকালে চাঁদের গাড়ি কাউন্টারে চলে আসবেন।]
৪। সাজেক যাবার আগে খাগড়াছড়ি থেকেই টিম অনুযায়ী পরিমাণমত খাবার পানি নিয়ে নিন। সাজেকে পানির অনেক দাম।
৫। রোমঞ্চপ্রিয়দের জন্য সাজেকে যাবার আগে কর্টেজ বুকিং না দেয়াই ভালো। সামনাসামনি সব দেখে দামাদামি করে কর্টেজ নিবেন। সাজেকে কর্টেজ না পেলে হ্যালিপাডের পাস ধরে সেনাক্যাম্পের পাশ দিয়ে রাস্তা দিয়ে কংলাক পাহাড়ের দিকে হাটা ধরুন। পথে বেশকিছু উপজাতীয় বাড়ি আছে খালি থাকলে পাবেন না হলে সোজা কংলাক পাহাড়ে চলে জান সেখানে অনেক আছে। আর একান্তই যদি কর্টেজ না পান তাহলে গাড়িতেই রাত কাটালেন, সমস্যা কী! (৫নংটা শুধুমাত্র রোমাঞ্চপ্রিয়দের জন্য, ফ্যামিলি ট্যুর দিলে আগ থেকেই কর্টেজ বুকিং দেয়া ভালো)।
৬। সাজেক পৌঁছেই নিকটস্থ হোটেলে ঐ বেলার খাবারের ওর্ডার দিয়ে দিবেন। এটাই নিয়ম। প্রতি বেলায় এরকম করতে হয়। ওর্ডান না দিলে খাবার পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।
৭। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ পরিচিত থাকলে সাজেকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে পরিচয় করায় নিতে পারেন। এতে করে কর্টেজ এবং খাবারে বিশেষ ছাড় পাবেন। (নরমালি খাবার প্যাকেজের দাম ১৫০ টাকা (বয়লার+ডাল+সবজি+ভর্তা), ১৭০টাকা (দেশি মুরগী+ডাল+সবজি+ভর্তা); আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রেফারেন্সে খাবার প্যাকেজের দাম ১২০ টাকা (বয়লার+ডাল+সবজি+ভর্তা)। অন্যসব কিছুতেই এরকম বিশেষ ছাড় পাবেন।
৮। কাপলাং পাহাড়ে যেতে হলে ভোর ৪-৪.৩০ মিনিটে টিম নিয়ে হেটে হেটে রওনা দিন। সবাই মিলে গল্প করতে করতে যাবেন, প্রকৃতির শব্দ শুনবেন অসাধারণ অনুভূতি তৈরি হবে, আর প্রকৃতির সৌন্দর্য ছুঁয়েও দেখতে পারবেন। গাড়ীতে যে সুযোগটা পাবেন না।
৯। পাহাড়ি উপজাতিদের কোন জিনিসে না বলে হাত দেয়া কিংবা নেয়া থেকে বিরত থাকবেন। অবশ্যই পাহাড়ি উপজাতিদের সাথে পোলাইটলি সুন্দরভাবে কথা বলবেন। মনে রাখবেন পৃথিবীর যেখানেই আপনি যান, আপনি কিন্তু ২টা জিনিস রিপ্রেজেন্ট করবেন। প্রথমত আপনার নিজের পরিবার এবং দ্বিতীয়ত আপনার নিজ দেশ। সুতরাং নিজের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হবেন।
১০। পর্যটন এলাকা কোনভাবেই নোংরা করবেন না। দেয়াল কিংবা গাছে লিখন থেকে বিরত থাকুন। নিজে এ ব্যাপারে সচেতন থাকবেন এবং টিমের অন্যদেরও সচেতন রাখবেন।
=====================

চতুর্থ অংশঃ যাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন
আবাসিক/থাকার হোটেলঃ রুম সুন্দর 
হোটেল রাজু; চাঁদের গাড়ি স্ট্যান্ডের কিছুটা আগে।
01550606056

খাবার হোটেলঃ খাবার মান ভালো
মক্কা হোটেল রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরানী হাউজ; চাঁদের গাড়ি স্ট্যান্ডে। 
01815157314; 01556533058 (মোহাম্মদ আলমগীর)
আলমগীর ভাই খুব হেল্পফুল। তারপরেও কারও কাছ থেকে হেল্প নিলে যাচাই-বাচাই করে নিন

চাঁদের গাড়ি ড্রাইভারঃ সুশীল মামা
01881637889
সুশীল মামার ব্যাবহার ভালো। নিজ থেকে পাড়িদের গল্প বলেন, কিছু জানতে চাইলে গুছিয়ে বলেন। কথাবার্তায় কিছুটা আঞ্চলিকতা আছে। চাঁদের গাড়ি স্ট্যান্ডে চাঁদের গাড়ি সমিতির কাউন্টার আছে। আমরা কাউন্টার থেকে আপ-ডাউন গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। সকাল ১০টার স্কটে রওনা দিছি পরদিন বিকেল ৩টার টায় ফিরেছি, ভাড়া পরেছিলো ৮২০০ টাকা। এবং গাড়ি পার্কিং+সাজেক প্রবেশমূল্যসহ মোট ৮৫০০ টাকার মত। জনপ্রতি ৭০৮-৭১০ টাকা।

#সাজেক
খাবার হোটেলঃ সুমেট মামা
01820715874
সুমেত মামা বেশ ভালো। প্রতি বেলায় কতজন খাবেন আগে থেকে তার ওর্ডার দিয়ে দিবেন।

থাকার কর্টেজঃ প্যারাডাইজ সাজেক
01865824543 (Office); 01845766537 (Bkash); 0181183517;
তিনতলা কর্টেজ। রুমগুলো সুন্দর। পাহাড়ের সাইটের রুমগুলোর এটাস্ট বেলকুনি আছে। বেলকনি থেকে সুন্দর পাহাড় দেখা যায়। বেলকনি থেকে পাহাড় এবং মেঘের ভিউ সুন্দর। এটাস্ট বাথরুম, বাথরুম পরিষ্কার। ৩/৪জন, কাপল এবং সিঙ্গেল থাকার রুম আছে।
=======================
পুনশ্চঃ চেষ্টা করেছি ভুল সংশোধন করে লেখার। তারপরেও আশা রাখছি লেখায় অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।
=======================
******আপনার ভ্রমণ শুভ, সুন্দর এবং মঙ্গলময় হোক******

#সাজেক #Sajek
#কংলাক #Konglak 

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.